‘বিয়ে ব্যবসায়’ কোটিপতি শাহানাজ

একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে প্রেমের অভিনয় করে বিয়ের ফাঁদে ফেলে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মোছা. শাহানাজ পারভীন ওরফে সানু (৩৯) নামের এক নারীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।

রোববার (১৮ জুলাই) র‍্যাব-৩ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বীণা রানী দাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, একজন ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে রাজধানীর ডেমরা এলাকায় র‌্যাব-৩ এর একটি দল শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে প্রতারক শাহানাজ পারভীনকে গ্রেফতার করে।

এ সময় তার কাছ থেকে তিনটি জাল জাতীয় পরিচয়পত্র, ৩টি জন্ম নিবন্ধনের কপি, বিভিন্ন নামীয় তিনটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের চেকবই, একটি নিকাহনামা, বিভিন্ন ব্যক্তির তিনটি জাতীয় পরিচয়পত্র ও দুটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বীণা রানী দাস বলেন, প্রথমে শাহানাজ পারভীন বিভিন্ন নামে ছদ্মবেশ ধারণ করে ফেসবুকের মাধ্যমে সহজ-সরল ব্যক্তিদেরকে টার্গেট করে তার প্রেমের ফাঁদে ফেলে। তারপর নানা প্রলোভন দেখিয়ে তাদের সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেন।

গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর শাহানাজ পারভীন তার স্বামী-সন্তান, নিজের বয়স ও প্রকৃত পরিচয় গোপন রেখে কাজী অফিসে গিয়ে জাল জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে একজন ভুক্তভোগীর সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন। এ বিয়ের মূল উদ্দেশ্যই ছিল ভুক্তভোগীর কাছ থেকে অর্থ আত্মসাৎ।

র‍্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, ভুক্তভোগীর সঙ্গে বিয়ের পর ব্যবসায়ী ভিসায় অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং বিকাশের মাধ্যমে ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন শাহানাজ পারভীন। জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, এভাবে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে তিনি প্রায় এক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ডেমরা থানায় মামলা করা হয়েছে।

গ্রেফতার নারীর স্বামী সৌদি প্রবাসী। তার ২১ বছরের একটি কন্যাসন্তান ও দুটি ছেলেসন্তান রয়েছে। তার স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়নি এবং স্বামীই তাদের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এরপরও স্বামীর অনুপস্থিতিতে অর্থ উপার্জনের জন্য বিয়েকেই পেশা হিসেবে বেছে নেন বলেও জানান বীণা রানী দাস।